অনলাইনে শুক্রাণু কিনে ‘ই-বেবি’র জন্ম দিলেন নারী

দ্বিতীয় সন্তান নিতে আগ্রহী হন এক ব্রিটিশ নারী। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী স্টেফনি টেলর নতুন করে কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাননি। সেক্ষেত্রে তার বিকল্প উপায় ছিল কোনো গর্ভধারণ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়া।

সম্পর্কে জড়াতে না চাইলেও স্টেফনি আবার চেয়েছেন তার সন্তান তারই মতো যেন দেখতে হয়। তাই তিনি এমন কাউকে খুঁজছিলেন, যার শারীরিক গঠন তার সঙ্গে মেলে। একই সঙ্গে স্বভাবের দিক থেকেও পরিবারমুখী মানুষ চাচ্ছিলেন তিনি। সে কারণেই বিকল্প পথ খোঁজেন স্টেফনি।

বিষয়টি এক বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করার পর, তার ওই বন্ধুই স্টেফনিকে অনলাইনে শুক্রাণু কেনার একটি অ্যাপের সন্ধান দেন। ওই অ্যাপে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সব তথ্যই দেওয়া থাকে। সেখান থেকেই নিজের সন্তানের জন্য শুক্রাণুদাতা খুঁজে নেন তিনি।

ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট থেকেই শুক্রাণু ক্রয় করেন স্টেফানি। ইউটিউব দেখে সেই শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি শিখেছেন। শেষে ই-কমার্স সাইট ই-বে থেকে কিনেছেন প্রজনন প্রক্রিয়ার দরকারি জিনিসপত্র। তার যুক্তি অনলাইনে যখন সব কিছুই হচ্ছে, তখন সন্তান ধারণেই বা সমস্যা কোথায়।

দশ মাস পরে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কন্যার নাম রেখেছেন ইডেন। যদিও ইডেন এর চেয়ে ই-বেবি নামেই বেশি পরিচিতি পাচ্ছে শিশুটি।

অনলাইনে লেনদেন, কেনাকাটা বা বার্তা প্রেরণের পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিকের অদ্যাক্ষর ‘ই’ জুড়ে দেওয়া হয়। স্টেফনির কাহিনি শুনেও অনেকের মনে হয়েছে এই সন্তানের জন্মের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অনলাইনের বিষয়-আশয়। তাই ইডেন আসলে ‘ই-বেবি’।

তবে হঠাৎ গর্ভধারণ কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়িতে গর্ভধারণ করেছেন কেন? স্টেফনি জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে বিকল্পটি ভেবে দেখেননি তা নয়। বরং প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি গর্ভধারণ কেন্দ্রে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তান ধারণ করানোর মূল্য এতটাই বেশি যে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন স্টেফনি।

স্টেফনি জানিয়েছেন, প্রথমে এ ব্যাপারে তার বাড়ির কয়েক জন সদস্য রাজি না হলেও ইডেনের জন্মের পর তারা খুশি। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সন্তানের জন্ম দিতে পেরে স্টেফনিও গর্ববোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।